মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়ালে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খতিবজাদে। তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ মানে পুরো অঞ্চলেই ‘নরক নেমে আসা’। সম্প্রতি বিবিসিকে দেআন্তর্জাতিক ডেস্ক ওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাঈদ খতিবজাদে বিবিসিকে বলেন, ‘এটা আমেরিকার যুদ্ধ নয়’, আর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি এতে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে তিনি চিরকাল এমন একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিচিত হবেন, যিনি এমন এক যুদ্ধে ঢুকে পড়েছিলেন যার সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন হস্তক্ষেপ এই সংঘাতকে একটি ‘অচলাবস্থায়’ পরিণত করবে, আগ্রাসন আরও বাড়াবে এবং ‘নৃশংস বর্বরতার’ অবসান বিলম্বিত করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা এ সংঘাতকে একটি জটিল ফাঁদে পরিণত করবে বলে মন্তব্য করেন সাঈদ খতিবজাদে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতে আগ্রাসন চলতে থাকবে। নৃশংস নির্যাতনের অবসান আরও বিলম্বিত হবে।
খতিবজাদে সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ সংঘাতকে আরও গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী করে তুলবে। এর ফলে বর্বরতা বন্ধ হবে না, বরং আরও ছড়িয়ে পড়বে। নিরীহ মানুষ বেশি ভুক্তভোগী হবে।
তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধ যদি যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে বৈশ্বিক রূপ নেয়, তাহলে এটি শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্বের নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
ইরানের সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল হাসপাতালের পাশের একটি সামরিক স্থাপনা। হামলার লক্ষ্যবস্তু হাসপাতাল ছিল না।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোরোকা মেডিকেল সেন্টারে ইরানের হামলার ঘটনায় ৭১ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘নিষ্ক্রিয়’ আরাক ভারী পানি চুল্লি ও নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনা।